শনিবার , ০২ আগস্ট ২০২৫
Saturday , 02 August 2025
০৭ সফর ১৪৪৭

প্রবাসন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১ আগস্ট ২০২৫

বসুন্ধরায় ‘গোপন বৈঠক’, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি

বসুন্ধরায় ‘গোপন বৈঠক’, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অনুষ্ঠিত ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের রহস্য উদঘাটনে জোর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে ৮ আগস্টকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো নানা হুমকির বিষয়ে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই বলেও জানানো হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা এলাকায় কে বি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত একটি গোপন বৈঠকে অংশ নেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নিষিদ্ধ ঘোষিত ২২ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হক-কে হেফাজতে নিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ।

বৈঠকের স্থানটি ভাড়া নিয়েছিলেন শামীমা নাসরিন শম্পা নামের এক নারী, যিনি দাবি করেছিলেন বিদেশে লোক পাঠানোর জন্য প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। পরে, গত ১৩ জুলাই ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ডিএমপি জানায়, ঘটনাটিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। এর পেছনে কারা জড়িত এবং প্রকৃত উদ্দেশ্য কী, তা খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

আসন্ন ৮ আগস্টকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে যে সব ‘হুমকি’ ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়ে ডিএমপি জানায়- গত এক বছরে নানা পরিকল্পিত প্রচেষ্টা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টের। তবে আগস্ট ঘিরে এ মুহূর্তে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই।

তালেবুর রহমান আরও বলেন, আমরা সবসময় সতর্ক আছি। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২৬ জুলাই গুলশানে এক সাবেক মহিলা এমপির বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক পরিচয়ধারী জানে আলম তপু-সহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১৭ জুলাই জানে আলম তপু ও রিয়াদ প্রথম চাঁদা দাবি করে, সেদিনই নেয় ১০ লাখ টাকা। এরপর ১৯ জুলাই ফের ৪০ লাখ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি। তারপর ২৬ জুলাই আরও লোকজন নিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টাকালে পুলিশ গ্রেফতার করে ৫ জনকে। পরে ১ আগস্ট পলাতক জানে আলম তপুকে গোপীবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। রিয়াদের বাবুবাজারের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক। বাড্ডার বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

ডিএমপি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০টি থানা এলাকায় পরিচালিত হয়েছে ৪৮৯টি টহল টিম। স্থাপন করা হয়েছে ৬৬টি চেকপোস্ট। ২৫৪ জন গ্রেফতার, যাদের মধ্যে কেউ কেউ নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য। উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি মোবাইল, ৬টি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার এবং বিভিন্ন মাদকদ্রব্য।

ডিএমপি স্পষ্ট করেছে- কাউকে ঢালাওভাবে হয়রানি করা হচ্ছে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়