রোববার , ১০ আগস্ট ২০২৫
Sunday , 10 August 2025
১৫ সফর ১৪৪৭

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ১০ আগস্ট ২০২৫

রাঙামাটিতে এখনো পানিবন্দি ২৩ হাজারের বেশি মানুষ

রাঙামাটিতে এখনো পানিবন্দি ২৩ হাজারের বেশি মানুষ
ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির আকাশে এখনো মেঘের ছায়া, পাহাড়ি ঢলের ধ্বংসযজ্ঞের রেশ কাটেনি। কাপ্তাই হ্রদের বিশাল জলরাশি ধীরে ধীরে কমছে বটে, কিন্তু এখনো তা বিপৎসীমায়। চারপাশে শুধু পানি আর পানি—গ্রাম, ঘাট, ফসলি জমি, এমনকি মানুষের স্বাভাবিক জীবনও তলিয়ে আছে এর নিচে। এই দুর্যোগে রাঙামাটির ২৩ হাজারের বেশি মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে অসহায় দিন কাটাচ্ছেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) কাপ্তাই হ্রদের জলকপাট সাড়ে তিন ফুট থেকে কমিয়ে তিন ফুট খোলা রাখা হয়। এর ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি নেমে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। কিন্তু নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে টানা তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল চন্দ্রঘোণা-রাইখালী ফেরি চলাচল। এতে রাঙামাটি সদর থেকে রাজস্থলী উপজেলা ও বান্দরবানের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এ বছর কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রেকর্ড হয় ১০৮.৮৪ এমএসএল। বর্তমানে তা কিছুটা কমে ১০৮.৪০ এমএসএল-এ দাঁড়িয়েছে। পানি কমতে শুরু করলেও চেঙ্গী ও কাচালং নদীর পানি উপচে কিছু এলাকায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে, ফলে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১২০ জনে।

বাঘাইছড়িতে পানি নেমে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরছেন। তবে লংগদু, বরকল ও রাঙামাটি সদরের নিম্নাঞ্চল এখনো পানির নিচে। স্থানীয়রা আশা করছেন, বৃষ্টি না হলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও ১৫টিতে এখনো ২ হাজার ৮৯৪ জন মানুষ অবস্থান করছেন। বন্যায় ৮৩৭টি ঘরবাড়ি, ২৩৯ হেক্টর ফসলি জমি, ২০০টি গবাদি পশু এবং ৫৯টি মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়