তানজীদের আগ্রাসনে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

শুরু থেকে শেষ-সব জায়গায় বাংলাদেশ। কলম্বোতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল টাইগাররা।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম বলেই সাফল্য পায়। শ্রীলঙ্কা শুরুতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেখ মেহেদীর ৪ উইকেটের ঝলকে থমকে যায়। শেষ ওভারে শানাকার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লঙ্কানরা পৌঁছায় ১৩২ রানে। বাংলাদেশ জয়ের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে মাত্র ১৬.৩ ওভারে, ২ উইকেট হারিয়ে।
তানজিদের আগ্রাসী ফিফটিতে দাপুটে শুরু
বাংলাদেশের রান তাড়ায় শূন্য রানে ইমন আউট হলেও থামেননি তানজিদ। ছক্কার পর ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২৭ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তার ব্যাটে ছড়িয়েছে আগুন, সঙ্গে ছিলেন লিটন ও পরে হৃদয়। লিটন ২৬ বলে ৩২ রান করে আউট হলেও তানজিদ ও হৃদয়ের জুটি বাংলাদেশকে জয় এনে দেয়। ১২.১ ওভারে বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় একশর গণ্ডি।
মেহেদীর ঘূর্ণিতে ধসে পড়ে লঙ্কান টপ অর্ডার
দীর্ঘ বিরতির পর একাদশে ফেরা শেখ মেহেদী হাসান পাওয়ার প্লেতেই শিকার করেন আসালাঙ্কা ও নিসাঙ্কার উইকেট। নিসাঙ্কা একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন—৩৯ বলে ৪৬ রান।
মেহেদী ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া শরিফুল, মোস্তাফিজ ও শামীম পান একটি করে উইকেট।
শেষ ওভারে শানাকার ঝড়
১৬তম ওভারে লঙ্কানদের সংগ্রহ ছিল ১১০ এর নিচে। তখনই মাঠে নেমে ঝড় তোলেন দাসুন শানাকা। শরিফুলের এক ওভারে ২২ রান তুলে ১৩০ পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শানাকা করেন ২৫ বলে ৩২ রান।
কামিন্দু মেন্ডিসও খেলেন ১৫ বলে ২১ রানের ছোট অথচ কার্যকর ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা: ১৩২/৭ (২০ ওভারে)
নিসাঙ্কা ৪৬, শানাকা ৩২
মেহেদী ৪/১১, শরিফুল ১/২২
বাংলাদেশ: ১৩৩/২ (১৬.৩ ওভারে)
তানজিদ ৫৫*, হৃদয় ৩১*, লিটন ৩২
বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটে-বলে শ্রীলঙ্কাকে স্পষ্টভাবে ছাপিয়ে যায়। তরুণ তানজিদের দুর্দান্ত ফর্ম, শেখ মেহেদীর বল হাতে ফিরে আসা এবং তড়িৎ ফিনিশিং—সবকিছুতেই ছিল একাত্মতা। সিরিজ শেষে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ এখন আগস্টের আন্তর্জাতিক সূচির দিকে তাকিয়ে।