শনিবার , ০২ আগস্ট ২০২৫
Saturday , 02 August 2025
০৭ সফর ১৪৪৭

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ২২ জুলাই ২০২৫

মাইলস্টোন ট্র্যাজিডি: কান্না লুকাতে পারেননি সাংবাদিক

মাইলস্টোন ট্র্যাজিডি: কান্না লুকাতে পারেননি সাংবাদিক
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকতা নাকি কাচের দেয়ালের মতোসব দেখে, সব জানে, তবু নিজেকে আড়াল করে রাখে। বলা হয়, সংবাদ পরিবেশনে আবেগের কোনো স্থান নেই। কিন্তু উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের খবর প্রচার করতে গিয়ে সেই দেয়াল ভেঙে পড়েছিলসরাসরি সম্প্রচারে ভেঙে পড়েছিলেন সাংবাদিকরাও।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা যখন ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছিল, হাসপাতাল চত্বরে স্বজনদের আহাজারি বাড়ছে, তখন দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে চলছিল লাইভ সম্প্রচার। ক্যামেরার সামনে থেকে রিপোর্ট করছেন সংবাদকর্মীরাকিন্তু হঠাৎ গলা কেঁপে আসে কারও, কারও চোখ ভিজে ওঠে, কারও কণ্ঠ আটকে যায়। উত্তরার দুর্ঘটনাস্থল থেকে লাইভ দিচ্ছিলেন সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক শফিকুজ্জামান রুবেল।

লাইভে বলছিলেন, বাচ্চারা বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় তার গলা ধরে আসে। হাত দিয়ে মুখটা কিছু সময় চেপে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিশ্বাসটা ছাড়ার চেষ্টা করেন। আবার শুরু করেন। বলেন, অনেক অভিভাবক এখানে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের বাচ্চাদের নিয়ে বাসায় যাবেন, সেটি আসলে হয়নি। এটা বলতে গিয়ে আর কান্না লুকাতে পারেননি তিনি। চোখে জল নিয়ে কাঁপা কণ্ঠেই শেষ করেন লাইভ। তার সেই ভিডিও বুধবার (২২ জুলাই) সকালে অনেকে শেয়ার করেছেন। বিমান বিধ্বস্তের পরই আহতদের উদ্ধার করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় আহতদের। সেখান থেকে লাইভে সংবাদ পরিবেশন করেন বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার সাংবাদিক মাহফুজ মিশু। আহত শিশু শিক্ষার্থীদের দগ্ধ হওয়া যাওয়ার খবর দিতে গিয়ে বার বার গলা ধরে আসে তার।

শুধু সাংবাদিক না, চিকিৎসা দিতে গিয়ে কাঁদছেন চিকিৎসকরা। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাধীন শিশুদের তথ্য সাংবাদিকদের জানাতে গিয়ে কান্না লুকাতে পারেননি এক নারী চিকিৎসক। শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলেন, এই বাচ্চাদের বয়সেরই আমার সন্তান আছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়